এম এইচ শাহীন, গাজীপুর প্রতিনিধি:
কিস্তিতে ওষুধ বিক্রি করা কবিরাজ বাড়ি সাত তালার মালিক ও গাজীপুর মহানগরীর ১২ নং ওয়ার্ড আ. লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল হককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গাজীপুর মহানগরের সদর থানার সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, আ. লীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে গাজীপুরে দীর্ঘদিন ধরে ভূয়া চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন দলটির নেতা কথিত কবিরাজ মোজাম্মেল হক। গাজীপুর মহানগরের আ. লীগের প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় ১২ নং ওয়ার্ড আ. লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং কোনাবাড়ী এলাকার প্রভাবশালী একজন নেতা বনে যান মোজাম্মেল। একই সঙ্গে তিনি কোনাবাড়ী এলাকার আলোচিত ‘সাত তলা কবিরাজ বাড়ি’ এর প্রতিষ্ঠাতা। তার অপকর্ম বেগবান করতে তৎকালীন গাজীপুর মহানগর আ. লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খানকে ‘বাবা’ হিসেবে সম্বোধন করতেন তিনি। সরকারি, প্রশাসনিক এবং সর্বমহলে আজমত উল্লাহ খানের ছেলে হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতেন এই মোজাম্মেল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোজাম্মেল হক দীর্ঘদিন ধরে ভূয়া চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন। আ. লীগ সরকারের সময় গাজীপুরের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে তিনি সরকারি জমি দখল, অনুমোদনহীন চিকিৎসা কেন্দ্র পরিচালনা এবং নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ রয়েছে, তার কবিরাজি কার্যক্রমের আড়ালে একটি আর্থিক প্রতারণা চক্রও গড়ে উঠেছিল। এদিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ি থানার বাইমাইল এলাকায় সরকারি সম্পত্তি দখল করে একটি মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে প্রায় ২/৩ বিঘা জায়গা দখল করে খামার, দোকান- পাট, বাসাবাড়ি এবং ডায়মন্ড কার সার্ভিসিং নামক একটি সেন্টার স্থাপন করেছেন মোজাম্মেল হক। সরকারি সম্পত্তির উপর নির্মিত ‘ডায়মন্ড কার সার্ভিসিং সেন্টার’ হওয়ায় বিশেষ ব্যক্তিদের গাড়ি ফ্রিতে মেরামতের সুবিধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার এসআই আবুল কাশেম জানান, গত ৭ ফেব্রুয়ারি সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই সময়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা- কর্মীদের হামলায় আবুল কাশেম নিহত হন। ওই হত্যা মামলায় মোজাম্মেল হক কবিরাজকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
Leave a Reply