মোঃ শিহাব উদ্দিন, গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।
গোপালগঞ্জে চলছে অবৈধ আত্মঘাতী ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব।
প্রতিদিন প্রকাশ্যে চলছে বালু উত্তোলন । বিশেষ করে প্রতি বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার সরকারি ছুটির দিনে চলে বালু কাটার মহোৎসব ।
কিছু কিছু ড্রেজার মালিকেরা রাত্রিবেলা আত্মঘাতী ড্রেজার চালাচ্ছে,সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় একাধিক আত্মঘাতী ড্রেজার দিয়ে কাটা হচ্ছে বালু। জিগ্যেস করলে এড়িয়ে যান আত্মঘাতী ড্রেজার শ্রমিকেরা।নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানান বালু আগে যারা কাটতেন এখনও তারাই কাটছেন শুধু পালটেছেন, বেশ থাকছেন আড়ালে, সেখান থেকেই নাড়ছেন কলকাঠি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ড্রেজার মেশিন মালিক জানান, জমির নিচের বালু কেটে ওপরে ওঠানো যন্ত্রের স্থানীয় নাম আত্মঘাতী। আর নদী বা খালের নিচের বালু উত্তোলন যন্ত্রের নাম লোড,এবং আনলোড।
অপর সূত্রটি জানায়, গোপালগঞ্জ সদর এবং কোটালীপাড়া, কাশিয়ানী সহ নিচু এলাকায়,
বালু কাটার ৪ শতাধিক যন্ত্র আছে। প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে বালু উত্তোলন চলছে। অনেকে জরিমানা দিচ্ছেন; অনেকে প্রভাবশালী মহলের ছত্র ছায়ায় ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন ।
স্থানীয় এক উন্নয়নকর্মী বলেন, ‘মাটির নিচের বালু তোলার ফলে গোপালগঞ্জের অবস্থা হচ্ছে ওপরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট। এমনিতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিতে রয়েছি। ভূ-তল শূন্য করে দিলে ধ্বংস ডেকে আনতে বেশি সময় লাগবে না। এটা বন্ধ করা জরুরী।’ বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর ধারা ৫-এর ১ উপধারা অনুযায়ী, পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি তোলা যাবে না। ধারা ৪-এর (খ) অনুযায়ী, সেতু, কালভার্ট, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্ব¡পূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু তোলা নিষিদ্ধ। আইন অমান্যকারী দুই বছরের কারান্ড ও সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।
Leave a Reply