1. admin@dainik-duronto.com : duronto :
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০৭:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জে বাবার গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন আঃ লীগ নেতা জিএম শাহাবুদ্দিনের ছেলে। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। হিমাগারে মজুত করা পুষ্টির মিষ্টি খেয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে নগরবাসী। পবিত্র ঈদ-উল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন,একে এম নুর হোসেন হাওলাদার। ডোমারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ব্যাটারি চালিত অটো চালক নিহত। উখিয়ার,রত্নাপালং কামরিয়ার বিলের বন্যার পানিতে সড়কে ভয়াবহ গর্ত, দুর্ঘটনার শঙ্কায় এলাকাবাসী। পবিত্র ঈদুল অযহার শুভেচ্ছা জানালেন, চিরতরে বন্ধু সংগঠন বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলার সভাপতি। । গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৩৫০জন ইমাম ও মুয়াজ্জিনের মাঝে ঈদ সামগ্রী তুলে দিলেন ডিসি মুহম্মদ কামরুজ্জামান। পবিত্র ঈদুল অযহার শুভেচ্ছা জানালেন, ছাত্র অধিকার পরিষদ উখিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক। গোপালগঞ্জে কোরবানি ঘিরে তেঁতুল গাছের খাটিয়ার বিক্রি বেড়েছে।

গোপালগঞ্জের কোরবানীর হাট কাঁপাবে -চারটি গরু  কালো পাহাড়, লালু, পাগলা-১ ও পাগলা-২।

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫
  • ৫১ বার পাঠ করা হয়েছে

মোঃ শিহাব উদ্দিন , গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :

গোপালগঞ্জে এবারের কোরবানীর হাট কাঁপাতে আসছে ফ্রিজিয়ান ও শাইওয়াল জাতের চারটি গরু। তাদের নাম রাখা হয়েছে কালো পাহাড়, লালু, পাগলা-১ ও পাগলা-২। খামারী রাধেশ্যাম পোদ্দার এ গরুগুলো লালন পালন করেছেন। এক একটি গরুর দাম ধরা হয়েছে সাড়ে ৪ লাখ থেকে ৫ লাখের মধ্যে। আর প্রাণীসম্পদ বিভাগ বলছে এসব গরু বিক্রিতে সহায়তা করা হবে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সোনাকুড় গ্রামের খামারী রাধেশ্যাম পোদ্দার। পেশায় একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। বিগত বছরগুলোতে গরু বিক্রি করে লাভবান হওয়ায় এবছরও কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ১০ মাস ধরে ফ্রিজিয়ান ও শাইওয়াল জাতের ৪টি গরু লালন পালন করেন। ঘাস, খৈল, ভুষি, ভাতের মারসহ দেশিয় খাবার খাইয়ে সন্তানের মত লালন পালন করেন তিনি।

তার এ গরুগুলোর নাম রাখা হয়েছে কালো পাহাড়, লালু, পাগলা-১ ও পাগলা-২। এক একটি গরুর ওজন হবে সাড়ে ৫’শ কেজি থেকে সাড়ে ৭’শ কেজির মধ্যে। এর মধ্যে কালো পাহাড়, লালু ও পাগলা-১ এর দাম প্রায় ৫ লাখ এবং পাগলা-২ এর দাম ধরা হয়েছে প্রায় ৪ লাখ টাকা।

রাধেশ্যাম পোদ্দারের এসব গুরু হৈচৈ ফেলে দিয়েছে পুরো এলাকায়। প্রতিদিনই গ্রামাবাসী ও ব্যবসায়ীরা তার গরু দেখতে আসছেন। চাহিদা মত দামে বিক্রি করলে এসব গরু কিনে নিবেন ব্যবসায়ীরা।

গরুর মালিক রাধেশ্যাম পোদ্দার বলেন, স্বর্ণ ব্যবসার পাশাপশি বাড়ীতে জায়গা থাকায় গরু পালন শুরু করি। বিগত বছরগুলোতে গরু বিক্রি করে ভালোই লাভ হয়েছে। তাই এবছর ৪টি গরু লালন পালন করেছি। এসব গরুর পিছনে প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। এক একটি গরুর ওজন হবে সাড়ে ৫’শ কেজি থেকে সাড়ে ৭’শ কেজির মধ্যে। এর মধ্যে কালো পাহাড়, লালু ও পাগলা-১ এর দাম ৪ লাখ ৮০ হাজার এবং পাগলা-২ এর দাম ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তবে চাহিদা মত দাম পেলে এসব গরু বিক্রি করে দিবো।

সোনাকুড় গ্রামের বাসিন্দা জামাল শেখ বলেন, রাধেশ্যাম পোদ্দার এবার ৪টি গরু লালন পালন করেছেন। যা আমাদের গ্রামের মধ্যে সবেচেয়ে বড় গরু। পরম যত্ন করে দেশীয় খাবার খাইয়ে গরুগুলো বড় করেছেন। প্রতিদিনই এলাকার লোকজন তার এসব গুরু দেখতে যায়। দেখে আমাদের খুব ভালো লাগে।

ফরিদপুর থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী সেকেন্দার আলী বলেন, জানতে পারি রাধেশ্যাম পোদ্দার দেশীয় খাবার খাইয়ে গরু লালন পালন করেছে। এসব গুরুর চাহিদা থাকায় তার গরু দেখতে আসলাম। দর দামে মিললে গরু কিনে নিয়ে যাবো।

গোপালগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গোবিন্দ চন্দ্র সরদার বলেন, খামারী রাধেশ্যাম পোদ্দার ৪টি গরু লালন পালন করেছেন। আমার তাকে সার্বিক সহযোগীতা করেছি। এই খামারী যাতে ন্যায্যমূল্যে তার গরু বিক্রি করতে পারে সে বিষয়ে সার্বিক সহযোগীতা করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি