মোহাম্মদ ইসমাইল, উখিয়া, কক্সবাজার।
প্রতিবেদক : সারাদেশে চিড়িয়াখানা থেকে সকল বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে অবমুক্ত করা ও হাতি হত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্পের নামে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের অনিয়ম ও লুটপাটের তদন্ত করে বিচারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পরিবেশবাদী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশ’। বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান আ ন ম মোয়াজ্জেম হোসেন।
এসময় তিনি ছয় দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, দেশের বিভিন্ন বনাঞ্চলে গত দশ বছরে নিহত শতাধিক হাতির ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক প্রতিবেদন প্রকাশ এবং এসব মামলার সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ ও বিচার, একইসঙ্গে হাতির করিডোরসহ সকল বন্যপ্রাণীর নিরাপদ অভয়ারণ্য নিশ্চিত করা। চট্টগ্রামে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন করে কোরিয়ান ইপিজেডকে দেওয়া ভূমির বন্দোবস্ত বাতিল ও সংলগ্ন দেয়াঙ পাহাড়ে হাতিসহ বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য নিশ্চিত করা। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাসহ দেশের সকল চিড়িয়াখানা থেকে সকল বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে অবমুক্ত করা। ডুলাহাজরা সাফারি পার্কে উন্নয়নের নামে লুটপাটের তদন্ত, সাফারি পার্কে নিহত সকল বন্যপ্রাণীর ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ ও চুরি হওয়া সকল বন্যপ্রাণী উদ্ধার। প্রাণী কল্যাণ আইনের ১৮ ধারা সংশোধন করা। তিনি আরও জানান, চট্টগ্রামের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে বদলি বাণিজ্য, লুটপাট, দুর্নীতি ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনে তাকে অপসারণ এবং কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও শেরপুরে হাতি হত্যার মদদদাতা হিসেবে অভিযুক্ত মোল্লা রেজাউল করিম, তপন কুমার দে ও ইয়াসিন নেওয়াজের বিচারের দাবি জানান তিনি।
আ ন ম মোয়াজ্জেম হোসেন আরও বলেন, ‘গত ১৭ বছর ধরে যারা এদেশের বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষার নামে প্রকল্প বাণিজ্য করে দেশের বন ও বন্যপ্রাণীদের হুমকিতে ফেলেছে, জুলাই বিপ্লবের পরও একই চক্র লুটতরাজ চালাচ্ছে। এটা আমরা কখনো মেনে নিতে পারিনা। তাদের মুখোশ উন্মোচন জরুরি বলে মনে করছি। আমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়বো। এসময় তিনি সংবাদ সম্মেলন থেকে বেশকিছু কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে, ২৪ থেকে ৩০ এপ্রিল দাবিগুলোর সপক্ষে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি, ৫ মে অভিযুক্তদের বিচার দাবিতে দুদকের চেয়ারম্যানের কাছে ডাকযোগে পোষ্টকার্ড পাঠানো, ১৪ মে চট্টগ্রামের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিমকে অপসারণের দাবিতে নগরীর নন্দনকাননে কার্যালয় ঘেরাও, ১৭ মে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন এবং ২০ মে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও পরিবেশ উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম, হালিমা চৌধুরী, শরীফুল ইসলাম জুয়েল, নুরুল ইসলাম নুরু, মো. আলাউদ্দিন।
Leave a Reply