মোহাম্মদ ইসমাইল, উখিয়া, কক্সবাজার।
স্থানীয় হোস্ট টিচারদের চাকরি অনতিবিলম্বে ফিরিয়ে দিতে হবে, অন্যতায় কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। স্থানীয় হোস্ট টিচাররা ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে, ২৪ ঘন্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত নিন। চাকরিতে পূর্ণবহাল করুন।
আমরা দেখতে পেয়েছি ফান্ড সংকটের কারণ দেখিয়ে ১২০০ জন হোস্ট টিচারকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, আগামী মাসে আরো ৪০০০ জনের চাকরিচ্যুত করা হবে বলে জানতে পেরেছি। সবচেয়ে বড় কথা তাদের স্থানে আপনারা রোহিঙ্গাদের চাকরি নিয়োগ দিচ্ছেন।
অথচ এই রোহাঙ্গা সংকটের কারণে আজকে স্থানীয়দের জীবনমান চরম সংকটে। পরিবেশের চরম দূষণ, মানুষের নিরাপত্তা চরম সংকটে, বাজার দামের উর্ধ্বগতি, চাকরির বাজার সংকট, পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট, বনায়ন ধ্বংস।
সেখানে স্থানীয়দের NGO রা বারবার নানান কলাকৌশলে চাকরি থেকে পদচ্যুত করে। এর আগেও একবার চাকরিতে বেতনবৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলন করা হলেও প্রথমে বেতনবৃদ্ধি প্রতিশ্রুতি/আশ্বাস দিয়ে পরে সেটা আর বাস্তবায়ন করা হয়নি। এখন আবার গনহারে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। অথচ উচিত ছিলো স্থানীয়দের সুযোগ দিয়ে তাদের জীবনমান উন্নত করা, এখন করা হচ্ছে তার বিপরীত।
সিদ্ধান্ত নিন খুব দ্রুত। চাকরি দ্রুত পূর্ণবহাল করুন। নাহয় স্থানীয় হোস্ট টিচাররা সবাইকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবে। এই বাংলাদেশে আন্দোলনের বিকল্প নাই এখনো। এইখানে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে দাবি আদায় করতে হয়। আন্দোলন চালিয়ে যান। নিজের যেটা অধিকার সেটা ফিরিয়ে নিন। আপনার অধিকার আপনাকে বুঝে নিতে হবে।
রিয়াজ মোহাম্মদ শাহরিয়া,সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর।