1. admin@dainik-duronto.com : duronto :
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জে আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৫ পালিত। গোপালগঞ্জে স্বস্ছতা সম্মেলন কক্ষে গ্রাম আদালত কার্যক্রম সম্পর্কে স্থানীয় অংশীজনদের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত। গোপালগঞ্জে স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিক’কে ফাঁসাতে ১০ হাজার টাকায় আপন ছোট ভাইকে খুন করায় বড় ভাই,যা জানালেন পুলিশ সুপার। গোপালগঞ্জে আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত।   ‎নাটোর কসবা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত। উখিয়ার জালিয়া পালং ইউনিয়নের সোনার পাড়া সমুদ্র সৈকতে অনুষ্ঠিত হলো ৩০ টির বেশি সামাজিক সংগঠন নিয়ে যৌথ প্লাটফর্ম গঠনের আলোচনা সভা। গোপালগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১০ টি দোকান পুড়ে ছাই।  উখিয়ার জালিয়া পালং ইউনিয়নের নিদানিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি সংক্রান্ত মামলায় শিক্ষক গ্রেপ্তার, সুষ্ঠু তদন্ত ও জামিনের দাবি। দেশের সকল চিড়িয়াখানার বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও হাতি হত্যার বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন। দফের আবিষ্কার ও প্রচলন ইতিহাস।

দফের আবিষ্কার ও প্রচলন ইতিহাস।

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫
  • ২৩ বার পাঠ করা হয়েছে

অফিস ডেস্ক

দফ (Daf) বা দাফ একটি প্রাচীন তালবাদ্য যন্ত্র, যার ইতিহাস বহু শতাব্দী পেছনের কথা। এটি মূলত একটি এক-মুখো ফ্রেম ড্রাম, সাধারণত কাঠ, ধাতু বা প্লাষ্টিকের গোলাকার ফ্রেমে একটি চামড়ার বা সিন্থেটিক চামড়ার ত্বক টানানো থাকে।

চলুন দফের আবিষ্কার ও প্রচলনের ইতিহাস সম্পর্কে ধারাবাহিকভাবে জেনে নিই।

আদিম উৎস: দফের উৎস ধরা হয় প্রাচীন পারস্য বা ইরান অঞ্চলে। প্রায় ৬ষ্ঠ শতাব্দী খ্রিষ্টপূর্বাব্দে।এটি তখন ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হতো। বিশেষ করে সুফি সাধকরা ধ্যান ও জিকিরের সময় দফ ব্যবহার করতেন।

প্রসার ও প্রচার মধ্যপ্রাচ্যে : পারস্য থেকে এটি মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।বিশেষ করে আরব, তুর্কি, ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে।প্রাচীন ইসলামি সংস্কৃতিতে দফকে “হালাল” বাদ্যযন্ত্র হিসেবে গণ্য করা হতো।কারণ এটি গানের চেয়ে জিকিরে বেশি ব্যবহৃত হতো।

ভারতীয় উপমহাদেশে আগমন: দফ ভারতীয় উপমহাদেশে আসে মূলত সুফি সাধকদের মাধ্যমে।মাজার, ওরস, কাওয়ালি, লোকগান ও বাউল সংগীতে দফ বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।বাংলা লোকসংগীতে বিশেষ করে বাউল, মারফতি, মুর্শিদি গানে দফ একটি অপরিহার্য বাদ্যযন্ত্র।

দফের প্রচলন ও ব্যবহার: সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লোকসংগীত।গ্রামীণ মেলা, বাউল উৎসব এবং পীর-মাজারেও দফের ব্যবহার অত্যন্ত জনপ্রিয়।বিভিন্ন ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক গানে দফ ব্যবহৃত হয় সঙ্গীতের স্পন্দন ও তাল সৃষ্টি করতে।

সুফি ও ধ্যানসংগীতে: দফ শুধুই বাদ্যযন্ত্র নয়, অনেকের কাছে এটি আত্মার অনুরণন, ভক্তির ছন্দ এবং জাগরণের মাধ্যম বলেও জানা গেছে।

আধুনিক সংস্করণ ও থেরাপিতে প্রয়োগ:
এখন অনেক দফে ঝিনঝিন বা ঘণ্টাধ্বনির মতো রিং লাগানো থাকে।বর্তমানে দফকে মিউজিক থেরাপিতেও ব্যবহার করা হয়, কারণ এর ধ্বনি হৃদয় ও মস্তিষ্কে প্রশান্তি আনে।

উপসংহার: দফ একটি প্রাচীন কিন্তু জীবন্ত বাদ্যযন্ত্র যা যুগে যুগে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে নতুনভাবে ও নতুনসাজে প্রকাশ হয়ে আসছে। আজও এটি শুধু লোকসংগীতে নয়, ধ্যান, চিকিৎসা ও গবেষণার ক্ষেত্রেও গুরুত্ব পাচ্ছে।

মো: শোয়েব হোসেন (লেখক)
শিক্ষক,শিল্পী, গবেষক,
সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি