সাদমান সাকিব জিসান,ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি:
রংপুরে হিমাগারে মজুত করা পুষ্টির মিষ্টি খেয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে নগরবাসী। রংপুরে অভিনব কায়দায় আলুর পরিবর্তে ঈদের বাজারে বিক্রির জন্য হিমাগারে মজুত করা প্রায় সাত হাজার কেজি মিষ্টি ও দই যৌথ অভিযান চালিয়ে জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২ লাখ টাকা জরিমানাসহ হিমাগারে মজুতকৃত ৬৭৮০ কেজি অবৈধ মিষ্টি ও দই জব্দ করা হয়েছে।
রংপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জোয়ার্দার আসিফ ইকবালের নেতৃত্বে শহরের ময়নাকুটি এগ্রো কোল্ডস্টোরেজ লিমিটেডে বুধবার (৪ জুন) রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে সেনাবাহিনী ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় ২ লাখ টাকা জরিমানাসহ হিমাগারে মজুতকৃত ৬৭৮০ কেজি অবৈধ মিষ্টি ও দই উদ্ধার করা হয়েছে।
ময়না কুটি এগ্রো কোল্ডস্টোরেজ লিমিটেডে এক কর্মকর্তা বলেন, এখানে শহরের ঐতিহ্যবাহী ‘পুষ্টি’ কোম্পানি তাদের মিষ্টি রেখেছিল। ওনাদের নাকি চাহিদা বেশি। এ কারণেই আমাদের কোল্ডস্টোরেজে মজুত করেছিল। ওনাদের কথাতেই আমরা কিছু মিষ্টি রেখেছিলাম। ঈদ উপলক্ষে তারা এসব সংরক্ষণ করেছিল। মিষ্টি রাখার নিয়ম নেই এরপরেও ওনাদের অনুরোধে আমরা রেখেছিলাম। আমরা এটা ভুল করেছি।
রংপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জোয়ার্দার আসিফ ইকবাল বলেন, আমরা এখানে এসে দেখলাম আলুর পরিবর্তে মিষ্টি মজুত করে রেখেছে। তারা এটা করতে পারেন না। আমরা মিষ্টির দোকান মালিক ও কোল্ডস্টোরেজ পক্ষকে ১ লাখ টাকা করে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছি। তারা তাদের দোষ স্বীকার করেছেন।
রংপুরের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এরা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। হিমাগারে রাখা এসব মিষ্টি ও দই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। মজুত করা মিষ্টি ও দই ধ্বংস করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর ৭২ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম বলেন, ঈদকে সামনে রেখে লম্বা সময় ধরে কোল্ডস্টোরেজের মধ্যে আলুর পরিবর্তে মিষ্টি মজুত করে রাখা হয়েছিল। পরিকল্পনা ছিলো মিষ্টি গুলো ঈদের আগে ও পরে বাজারে পাঠানোর।
Leave a Reply